শিশুর মতো কোমল ত্বক পেতে কোন জিনিসটা আপনাকে সাহায্য করতে হবে জানেন? সেটি হলো বেবি অয়েল। এই বেবি অয়েলের গুণেই আপনার ত্বক হতে পারে শিশুর মতোই নরম আর মসৃণ। বেবি অয়েলে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, অ্যালোভেরা, মধু আর মিনারেল অয়েলের গুণ রয়েছে যা ত্বককে সুস্থ আর সতেজ রাখে, ফ্রি র্যাডিক্যালস জনিত ক্ষতিকে ত্বক থেকে দূরে রাখে। তাই প্রতিদিনের রূপচর্চায় বেবি অয়েল রাখুন-
আপনার ত্বক প্রচণ্ড শুষ্ক বা সংবেদনশীল হলে ময়শ্চারাইজার হিসেবে বেছে নিন বেবি অয়েল। মুখ ধুয়ে বা গোসলের পর শরীরে বেবি অয়েল মাখুন। তাতে তেল শরীরে তাড়াতাড়ি শুষে যাবে, বাড়তি উজ্জ্বলতাও পাবেন ত্বকে। ক্লিনজার দিয়ে ঘষে ঘষে মেকআপ তুলে ত্বকের ক্ষতি না করে বরং তুলোয় করে বেবি অয়েল নিয়ে তাই দিয়ে মেকআপ তুলুন। মেকআপের প্রতিটি কণা উঠে যাবে, ত্বকও থাকবে আর্দ্র আর কোমল।
বেবি অয়েলের ভিটামিন ই ত্বকের সমস্ত ক্ষতি লাঘব করে সহজেই। তাই ফাটা গোড়ালি সারাতে চাইলে বেবি অয়েল হালকা করে গরম করে নিন, তারপর গোড়ালির ফাটা অংশে ভালো করে মাসাজ করুন। বেবি অয়েল মাখার পর কিছুক্ষণ মোজা পরে থাকবেন, যাতে তেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে পারে। নখের কোনা থেকে চামড়া উঠে যাওয়ার মতো যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা খুব কমই আছে। সাধারণ কিউটিকল কেয়ার ক্রিমের বদলে বেছে নিন বেবি অয়েল। তুলোয় করে নখের চারপাশে লাগান, হালকা হাতে মাসাজ করুন। কিউটিকল সুস্থ থাকবে, নখও থাকবে স্বাভাবিক দ্যুতিময়।
ত্বক ভালো রাখতে জেনে নিন লিচুর উপকারিতাঃ
প্যাচপ্যাচে গরম হলেও গ্রীষ্ম কিন্তু ফলের জন্য বিখ্যাত। আম-লিচুর সময় চলে এসেছে। গরমের অন্যতম ফল লিচু। লিচু শুধু স্বাদে নয়, গুণেও ভরপুর। নানা রোগ প্রতিরোধে, রূপচর্চায় লিচুর গুণ রয়েছে। লিচুর কী কী গুণ রয়েছে তা জেনে নিন।
১। হার্টের পক্ষে খুব উপকারী ফল লিচু। যা হার্টের শিরা উপশিরায় রক্ত চলাচল করাতে সাহায্য করে। এতে হার্টে ব্লোকেজ হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও দূর হয়। ২। ৭-৮ টা লিচুর রস করে তার মধ্যে ২ চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি স্ক্যাল্পে লাগান। এক ঘণ্টা রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তার পরে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। ৩। ত্বকের ট্যান দূর করতে ৩-৪ টে লিচুর পেস্ট বানিয়ে তার মধ্যে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল সলিউশন মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রেখে ৩০ মিনিট রাখুন। পরে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
৪। লিচুর মধ্যে থাকা উপাদান চোখের ছানি পড়া রোধ করে চোখকে ভাল রাখে। ৫। ক্যানসার প্রতিরোধক রয়েছে লিচুতে। তাই এই মরসুমি ফলটি নিয়মিত খাওয়া উচিত। ৬। লিচু ত্বকের কালো দাগ দূর করতেও কাজ দেয়। ৪-৫টি লিচুর পেস্ট বানিয়ে নিন। তার পরে মিশ্রণটি তুলোতে ভিজিয়ে কালো দাগগুলিতে লাগান। ১৫ মিনিট পরে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
৭। ত্বকে বয়সের ছাপ কমাতে লিচুর ভূমিকা রয়েছে। ৪-৫ টি লিচু ও কলার ১/৪ ভাগ নিয়ে একসঙ্গে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার ত্বকে ১৫-২০ মিনিট ধরে মাসাজ করুন। তারপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ৮। রোজ ৪-৫ টি লিচু খান। এতেও ত্বকের উপকার হবে। লিচুতে ক্যালোরি নেই, তাই ওজন বাড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। ৯। নিয়মিত লিচু খেলে শরীরে জ্বর বা ইনফেকশনের ভয় থাকে না। লিচু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ১০। নিয়মিত লিচু খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়।