ইংরেজীতে যাকে বলে ‘পোস্টমর্টেম’, বাংলায় তাকেই বলা হয় ‘ময়নাতদন্ত’। সাধারণত অস্বাভাবিকভাবে কারোর মৃত্যু হলে বা কোনো অজানা কারণে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মৃত্যু হলে মৃত্যুর কারণ খুঁজে বার করার পদ্ধতিকে বলা হয় ময়নাতদন্ত। তবে ইংরেজী নামের সাথে বাংলা নামের কোনো মিলই নেই। সেক্ষেত্রে একটি পাখির নাম যোগ করে তৈরি হয়েছে শব্দটি।
ঠিক কী কারণে এরকম নাম হলো, আজকের প্রতিবেদনে আমরা সেই সম্পর্কেই জানবো। অনেকেই হয়তো জানেন না হলুদ ঠোঁট বিশিষ্ট কালো রঙের ময়না পাখিটি ৩ থেকে ১৩ রকমের স্বরে ডাকতে পারে।
এমনকি এই পাখিটি নিজেকে অন্ধকারে মধ্যে লুকিয়ে রাখতে পারে। ফলস্বরূপ তাকে খালি চোখে দেখা যায় না। শুধুমাত্র অভিজ্ঞ মানুষেরাই তার ডাক শুনে পাখিটিকে চিহ্নিত করতে পারেন।
এর ফলে যেরকম অন্ধকারের মধ্যে ময়নাকে তদন্ত করে অভিজ্ঞ মানুষেরা খুঁজে বের করতে পারেন, ঠিক তেমনি ময়নাতদন্তের মাধ্যমে চিকিৎসকেরা সামান্যতম সূত্র ধরেও বড়ো কোনো রহস্যকে প্রকাশ্যে আনতে পারেন। যার ফলে কী কারণে কারোর মৃত্যু ঘটেছে জানা যায় তার আসল সত্যিটা। এই জন্যই এই শব্দটিকে বলা হয় ময়নাতদন্ত। যা হয়তো অনেকেরই জানা ছিল না।